৭ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে পূর্ব এশিয়ার দেশ তাইওয়ান। তাইওয়ানের পাশাপাশি চীন, ফিলিপাইন এবং জাপানেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের পর দেশগুলোতে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় বুধবার (৩ এপ্রিল) সকাল ৭টা ৫৮ মিনিটে তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূতত্ত্ববিদদের মতে, বিগত ২৫ বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহরের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে।
ইএসজিএস এর তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের কেন্দ্র এপিসেন্টার তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে ছিল ভূমিকম্পটির কেন্দ্র বা এপিসেন্টার এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে ছিল কম্পণটির উৎপত্তিস্থল। ৭ টা ৫৮ থেকে পরবর্তী কয়েক মিনিটে অন্তত ৯ দফা কম্পণ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএসজিএস।
তাইওয়ানের টেলিভিশন চ্যানেল টিভিবিএস ও অন্যান্য স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের কিছু ছবি ও ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে কিছু ভবন হেলে পড়ছে। ধসে ও হেলে পড়া অ্যাপার্টমেন্ট ভবন ও স্কুলগুলো থেকে লোকজন-শিক্ষার্থীদের সরিয়ে নিচ্ছে। বাড়িঘরের ধংসাবশেষের আঘাতে বেশ কয়েকটি যানবাহন ধ্বংস হওয়া এবং বাড়িঘর-দোকানপাটের আসবাব ও অন্যান্য জিনিসপত্রের ছড়ানো ছিটানো অবস্থার ফুটেজ প্রকাশ করেছে টিভিবিএস।
দেশটির পার্বত্যাঞ্চলের কিছু ভিডিওতে দেখা যায়, ভূমিকম্পের কারণে সেখানে বড়সড় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এর ক্ষয়ক্ষতি এখনো নিরূপণ করা যায়নি।
পুরো দেশজুড়ে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ ব্যাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে মনিটরিং গ্রুপ নেটব্লকস।
দেশটির ভূমিকম্পবিষয়ক সংস্থা বলছে, তাইওয়ানে গত ২৫ বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী ভূমিকম্প। এর আগে ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে তাইওয়ানে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। সে সময় ২ হাজার ৪০০ মানুষের মৃত্যু হয় এবং প্রায় পাঁচশর মতো ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
সূত্র: বিবিসি।