বাংলাদেশের সবশেষ ওয়ানডে সিরিজে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিন ম্যাচে তার রান ছিল যথাক্রমে ৫০*, ৬২ ও ৮৪*। এ ধরনের পারফরম্যান্সের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির একাদশে তার থাকা একপ্রকার নিশ্চিত বলেই মনে হচ্ছিল। তবে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে একাদশে ছিলেন না এই অভিজ্ঞ ব্যাটার, যা বিস্মিত করেছে অনেককেই, বিশেষ করে পাকিস্তানের দুই কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনিসকে।
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের পর ‘ডিপি ওয়ার্ল্ড ড্রেসিং রুম’ অনুষ্ঠানে ওয়াসিম ও ওয়াকার মাহমুদউল্লাহকে একাদশের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা দুজনেই মনে করেন, যদি একজন সিনিয়র খেলোয়াড়কে স্কোয়াডে রাখা হয়, তবে তাকে একাদশেও রাখা উচিত।
ওয়াসিম আকরাম বলেন, “আমি একটা প্রশ্ন তুলতে চাই। মাহমুদউল্লাহ ৩৯ বছর বয়সী, অভিজ্ঞ একজন খেলোয়াড়। যদিও সম্প্রতি তাকে খেলতে দেখিনি, তবে আজ (বৃহস্পতিবার) একাদশে রাখেনি বাংলাদেশ। আমার মতে, সিনিয়র খেলোয়াড়কে যদি স্কোয়াডে রাখা হয়, তাহলে তাকে ম্যাচেও খেলানো উচিত। নইলে তরুণ কাউকে সুযোগ দেওয়া ভালো।”
ওয়াসিমের মন্তব্যের সঙ্গে একমত হয়ে ওয়াকার ইউনিস বলেন, “তরুণ ক্রিকেটাররা দেখিয়েছে, সাদা বলের ক্রিকেট তাদের জন্যই। মাহমুদউল্লাহর বিষয়ে ঠিকই বলেছেন ওয়াসিম। যদি একাদশে না রাখাই হয়, তবে বেঞ্চে রাখার দরকার নেই।”
শুধু পাকিস্তানি কিংবদন্তিরাই নন, বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরাও মাহমুদউল্লাহর না থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। একাদশ ঘোষণার পর অনেকেই ভেবেছিলেন, দলের কৌশলগত সমন্বয়ের কারণেই হয়তো তিনি বাইরে রয়েছেন। তবে ম্যাচ শুরুর পর জানা যায় ভিন্ন কারণ।
বাংলাদেশ দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়, দুবাইয়ে প্রথম অনুশীলনে মাহমুদউল্লাহর ডান পায়ের মাংসপেশিতে টান লেগেছিল। সেই চোট পুরোপুরি না সারায় ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে তাকে খেলানো হয়নি।