সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া ২৩ নাবিক সহ বাংলাদেশী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ মুক্তি পেয়েছে। জানা গেছে, বিমানযুগে আরব আমিরাত থেকে দেশে ফিরবেন নাবিকরা।। মুক্তির পরপরই সোমালিয়া থেকে আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে তারা রওনা হয়েছে বলে জানায় মালিকপক্ষ।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) মধ্যরাতে মুক্তিপণ পাওয়ার পর তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।
জলদস্যুদের কবল থেকে নাবিকসহ জাহাজটি মুক্ত হওয়ার আগেই নাবিকেরা কে কোথায় থেকে কর্মবিরতি নিবেন, তার তালিকা চূড়ান্ত করে রাখে জাহাজের মালিকপক্ষ। তাদের নির্দেশে এ ব্যাপারে ক্যাপ্টেনকে একটি তালিকাও দিয়েছে নাবিকরা। সেই তালিকায় জাহাজের ২৩ নাবিকের মধ্যে ১৮ জন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দরে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিবে বলে জানিয়েছেন। বাকি পাঁচজন জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছালে অব্যাহতি নিবেন বলে জানিয়েছেন। তারপরও নাবিকদের সবাইকে দুবাই থেকে এক যোগে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে জাহাজটির মালিকপক্ষ।
এদিকে মালিকপক্ষের মুখপাত্র ও মিডিয়া অ্যাডভাইজার মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘জাহাজটি মুক্ত করা হয়েছে। এটি এখন আরব আমিরাতের দিকে যাচ্ছে। সেখানে পণ্য খালাস করবে। আর নাবিকরা বিমানযোগে দেশে ফিরে আসবে শিগগির। ঠিক কোনদিন তারা ফিরবেন তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’
আজ রবিবার সোমালিয়ান জলদস্যুদের কাছে জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর বিষয়ে কেএসআরএম কর্পোরেট কার্যালয়ে বেলা ১২টায় এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
উল্লেখ, গত ১২ মার্চ ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজকে জিম্মি করে সোমালিয়ান জলদস্যুরা। এরপর তারা মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি মালিকপক্ষ সরাসরি স্বীকার না করলেও মুক্তিপণ দিয়েই জাহাজটিকে মুক্ত করেছে তারা। ১৪ বছর আগে একই মালিকের আরেকটি জাহাজ এমভি জাহান মণিকেও একইভাবে মুক্ত করে কেএসআরএম গ্রুপ।