কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নামে জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পাবনার জেলা প্রশাসক।
এ ঘটনায় সুজানগর উপজেলার আহম্মদপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মোল্লা ও সচিব আওলাদ হাসানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার।
এর আগে রেজিস্ট্রার জেনারেল যাহিদ হোসেন ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য পাবনা জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামানকে নির্দেশ দেন।
জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান জানান, রেজিস্ট্রার জেনারেলের নির্দেশ পাওয়ার পর স্থানীয় সরকার বিভাগ পাবনার উপ-পরিচালক সাইফুর রহমানকে প্রধান করে এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরির ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান-২ ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলায় ইউনিয়নের কম্পিউটার অপারেটর নিলয় পারভেজ ইমনসহ অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করা হয়েছে। নিলয় পারভেজ ইমন আহম্মদপুর ইউনিয়নের আলতাফ হোসেন শেখের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ।
তিনি জানান, ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ইউপি সদস্য ও ২ নম্বর প্যানেল চেয়ারম্যান ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে ইউপির কম্পিউটার অপারেটর নিলয় হোসেনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে মামলার জন্য এজাহার জমা দিয়েছিলেন। তদন্ত শেষে সেটি মামলায় নথিভুক্ত করা হয়েছে। নিলয়কে গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে।
অপরদিকে কীভাবে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নামে জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি হলো তার কারণ জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সচিবকে। সুজানগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুখময় সরকার এ নোটিশ দেন।
উল্লেখ্য, পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার আহম্মদপুর ইউনিয়ন থেকে কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নামে ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ ইস্যু করা হয়। এ নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যকর তৈরি হয়েছে এলাকায়। ইউনিয়ন পরিষদের দেওয়া ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদে দেখা গেছে, ব্যক্তির নাম জাস্টিন ট্রুডো, বাবার নাম পিয়েরে ট্রুডো, মায়ের নাম মার্গারেট ট্রুডো। ১৯৭১ সালের ২৫ ডিসেম্বর পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
পরে সেই জন্মসনদ বাতিলের কথা জানান স্থানীয় সরকার রেজিস্ট্রার জেনারেল যাহিদ হোসেন। পাশাপাশি ওই ইউনিয়নের জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত সকল কার্যক্রমও স্থগিত করা হয়। পরে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের নির্দেশে ঘটনা তদন্তের আদেশ দেওয়া হয়।