দেশজুড়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ‘অমর একুশে’ উপলক্ষে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন।
বৃহস্পতিবার, ২১শে ফেব্রুয়ারি ভোর থেকেই কালো ও সাদা পোশাক পরা হাজারো মানুষ খালি পায়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছুটে আসেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে তারা শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
ইউনেস্কোর উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দুই দিনের বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রযুক্তিগত সংলাপ, উচ্চপর্যায়ের অধিবেশন, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, লাইভ স্ট্রিমিং এবং ব্যাখ্যাসহ একটি বিশেষ প্রদর্শনী।
দিবসের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। তার পরপরই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান তিনি।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, কলা অনুষদের ডিন ড. সিদ্দিকুর রহমান খান, প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ, বিজ্ঞান ও ফার্মেসি অনুষদের ডিন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান।
প্রধান উপদেষ্টার পর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদসহ আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা, কূটনীতিকরা, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনী প্রধান হাসান মাহমুদ খান, অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে ডিজিএফআই মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. ফয়জুর রহমান, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, র্যাব মহাপরিচালক একেএম শহীদুর রহমান, এনএসআই মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবু মোহাম্মদ সারওয়ার ফরিদ, ঢাকা জেলার জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (জেসিডি), ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল, সাম্যবাদী দল, গণফোরাম, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট এবং ছাত্র ফেডারেশন ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
পরবর্তীতে শহীদ মিনার এলাকা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।