প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার: তথ্য বিকৃতি ও বিরাজনীতিকরণের অভিযোগ
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারকে দীর্ঘদিন ধরে দেশবিরোধী ও গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ করা হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা দেশে বিরাজনীতিকরণকে উৎসাহিত করে এবং সুযোগ পেলেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। সাম্প্রতিক একটি ঘটনায় ডেইলি স্টারের ভূমিকা এই অভিযোগকে নতুন করে উসকে দিয়েছে।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনা ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠকের পর বাংলাদেশের প্রসঙ্গ উঠে আসে। এক ভারতীয় সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, বাইডেন প্রশাসনের সময় বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনে ডিপ স্টেটের কোনো ভূমিকা ছিল কি না। ট্রাম্প উত্তরে স্পষ্টভাবে জানিয়েছিলেন, “না, ডিপ স্টেটের কোনো ভূমিকা ছিল না।” এরপর তিনি বাংলাদেশের প্রসঙ্গে মন্তব্যের ভার মোদির উপর ছেড়ে দেন।
কিন্তু ডেইলি স্টারের বাংলা সংস্করণে শিরোনাম করা হয়েছিল: “বাংলাদেশের বিষয়গুলো মোদির হাতে ছেড়ে দিচ্ছি: ট্রাম্প”। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে, ডেইলি স্টার পরে তাদের ভুল স্বীকার করতে বাধ্য হয়।
ইতিহাসে ফিরে দেখা প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের এ ধরনের বিতর্কিত ভূমিকা নতুন নয়। ২০০৭ সালের ১১ জুন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান একটি সম্পাদকীয় লিখেছিলেন, যার শিরোনাম ছিল: “দুই নেত্রীকে সরে দাঁড়াতে হবে”। সম্পাদকীয়তে বিএনপি জোট সরকারের সমালোচনা করে বলা হয়, তাদের শাসনামলে প্রশাসনে দলীয়করণ, দুর্নীতি, সন্ত্রাস এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন বৃদ্ধি পেয়েছিল।
এছাড়াও, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তার পরিবারকে লক্ষ্য করে ভিত্তিহীন ও মনগড়া সংবাদ প্রকাশের অভিযোগও রয়েছে এ পত্রিকাগুলোর বিরুদ্ধে।
সমালোচকদের মতামত সমালোচকদের মতে, এই দুটি পত্রিকা প্রকাশ্যে গণতন্ত্রের পক্ষ নিলেও বাস্তবে তারা বিরাজনীতিকরণের পক্ষে কাজ করে। তাদের অতীত কর্মকাণ্ডের ভিত্তিতে ধারণা করা হয়, রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকলে তারা আবারও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করতে পারে।
সুতরাং, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের সংবাদ পড়ার ক্ষেত্রে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।