ঈদের বাকি আর মাত্র এক দিন। প্রিয়জনদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। আর এ ঈদযাত্রায় গাড়ির চাপ বেড়েছে পদ্মা সেতুতে। সেতুর টোল প্লাজায় ৭টি বুথের মাধ্যমে টোল আদায় করা হচ্ছে। এরপরও টোল প্লাজার সামনে যানবাহন বিশেষ করে মোটরসাইকেলের লেনে দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ভোর থেকে পদ্মা সেতু এলাকায় অন্যান্য যানবাহনের পাশাপাশি মোটরসাইকেলের ঢল নামে। ভোরে মোটরসাইকেলের দীর্ঘসারি লক্ষ্য করা গেলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে মোটরসাইকেল চাপ কিছুটা কমেছে। পদ্মা সেতু এলাকায় গণপরিবহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপও বেড়েছে।
সকাল ৯টার দিকে মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের টিআই গণমাধ্যমকে বলেন, পদ্মা সেতু এলাকায় ভোরে মোটরসাইকেলের বেশ চাপ ছিল। বেলা বাড়ার সাথে সাথে মোটরসাইকেলের চাপ কিছুটা কমেছে। টোল প্লাজার সামনে দীর্ঘ গাড়ির সারি রয়েছে। আজ গাড়ির চাপ অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেকটা বেশি।
এদিকে সড়কে বিশৃঙ্খলা এড়াতে মহাসড়কের ৬টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, এবার ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে করতে সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজায় ৭টি টোল বুথের মাধ্যমে যানবাহন থেকে টোল আদায় করা হচ্ছে। প্রতি পাঁচ সেকেন্ডে একটি করে যানবাহনে টোল আদায় করা হচ্ছে। এতে দ্রুত সময়ের মধ্যেই ভোগান্তিহীনভাবে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে যাচ্ছে যাত্রীরা। এ ছাড়া মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা লেন তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। ঘরে ফেরা মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
অন্যদিকে ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনায় এড়াতে ও ওভার ট্রেকিং বন্ধে স্পিড গানের মাধ্যমে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে হাইওয়ে পুলিশ।
হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার সিংহ গণমাধ্যমকে বলেন, ভোরে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে অনেকটা কমছে। আমরা সকাল থেকে মহাসড়কে টহল দিচ্ছি। হাইওয়ে পুলিশ যানজট নিরসনে এবার বেশ কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে মহাসড়কে কাজ করছে। অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনা ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে যাত্রীদের নিরাপত্তা স্বার্থে বিভিন্নভাবে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সিসিটিভির মাধ্যমে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।