বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালাস পেয়েছেন। একই সঙ্গে মামলার অন্য আসামিরাও খালাস পেয়েছেন।
আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক রবিউল আলম এই রায় ঘোষণা করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খালাস পাওয়া অন্যান্য আসামিরা হলেন—বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহিদুল ইসলাম, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউসুফ হোসেন, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক এবং নাইকো রিসোর্সেস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
১৩ ফেব্রুয়ারি মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়, এরপর আদালত আজকের তারিখে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুদক খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে। অভিযোগে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডার কোম্পানি নাইকোর কাছে হস্তান্তরের মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩,৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করা হয়েছে।
২০০৮ সালের ৫ মে দুদক এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০২৩ সালের ১৯ মার্চ আদালত অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।