চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বাস ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের সাতজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে এক নারী ও তার চার সন্তান রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। তারা অটোরিকশাটি একটি অনুষ্ঠানে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। সোমবার ভোররাত সাড়ে ১২টার দিকে ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কের শিকারীকান্দা বাইপাসে বাস, পিকআপ ট্রাক ও সিএনজির মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৫ জন। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় মাদ্রীপুরে ব্যবসায়ীসহ দুই, যশোরের ঝিকলগাছায় এক শিক্ষার্থী, নোয়াখালীতে এক নারী, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে এক মোটরসাইকেল আরোহী ও ঢাকায় তিনজন নিহত হয়েছেন। প্রতিটি শাখা এবং প্রতিনিধি থেকে পাঠানো বার্তা –
হাটজেরি (চট্টগ্রাম): প্রত্যক্ষদর্শী, ফায়ার সার্ভিস ও ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস (চট্ট মেট্রো-বি ১১ -১৮০৮) ও অপর একটি সিএনজি অটোরিকশা (আগত)। চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের চর্যা এলাকায় একটি গাড়ির (ফাটকছড়ি বাসিন্দাদের) সঙ্গে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সিএনজি অটোরিকশাটি দূর থেকে ছিটকে মাটিতে পড়ে যায়। তখন সিএনজি যাত্রীরা সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। ঘটনাস্থলেই নিহত হন পরিবারের সাত সদস্য।
তারা হলেন চন্দনাইশ উপজেলার মহম্মদপুর গ্রামের দুপাপাড়া এলাকায় বসবাসকারী মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী নারায়ণ দাসের স্ত্রী রীতা দাস প্রকাশ মায়া (৩৫) এবং সারাবনতীর তার চার সন্তান। তিনি হলেন মিঃ দাস (১৭ বছর বয়সী)। মিঃ দ্বীপ দাস (৫) এবং মিঃ দিগন্ত দাস (৫)। , বর্ষা দাস (১২), রীতার ননদ চিনু বালা দাস (১০) এবং ছেলে বাসিল বিপ্লব দাস (২৭)। এ ঘটনায় তিন পথচারীও গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা হলেন চান্দেং উপজেলার মোহাম্মদপুর দুপাপাড়া, ওস্তাদ বাড়ি ডোরালের শশির দাশের ছেলে বাপ্পা দাশ (২৮), ফটিকছড়ির বলমস্যা বৈদিহাট জেলার নেপালের বিপ্লব মজুমদার (২৪) ও নুরজেহান বেগম (৫৫)। তাদের হাটহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে বাপ্পা দাস ও বিপ্লব মজুমদারকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়।