October 8, 2024, 3:53 am
শিরোনামঃ
১৪৯ রানে অলআউট বাংলাদেশ শেখ হাসিনার অবস্থানের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে চায়নি ঢাকা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম টার্গেট হওয়া উচিত একটি নির্বাচিত সংসদ : তারেক রহমান ভারতে পালানোর সময় মোজাম্মেল বাবুসহ আটক ৪ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ছেলে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার আবার ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিপ্রাপ্তদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা গোপালগঞ্জে বিএনপির গাড়িবহরে হামলা, স্বেচ্ছাসেবক দলের ২ নেতা নিহত,আহত ৫০ জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার ৬১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও আলোচনা সভা রাজশাহীতে বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর: লিটন-বাদশাসহ আসামি ৬৩১

ঈদের আগে কমে গেল প্রবাসী আয়

Reporter Name

গত মার্চ মাসে প্রবাসীরা ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। এই অর্থ গত ফেব্রুয়ারি মাস এবং গত বছরের মার্চে দেশে আসা প্রবাসী আয়ের তুলনায় কম। সাধারণত ঈদের আগে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বাড়ে, তবে এবার হঠাৎ কেন তা কমে গেল, সে বিষয়ে উদ্বিগ্ন ব্যাংক কর্মকর্তারাও।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবাসীরা ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ আয় দেশে পাঠিয়েছিলেন। গত বছরের বেশিরভাগ সময়ে প্রবাসী আয় পরিস্থিতি খুব ভালো না থাকলেও শেষের দিকে রেমিট্যান্স বাড়তে শুরু করে। গত ডিসেম্বরে দেশে প্রবাসী আয় আসে ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার ও নভেম্বরে আসে ১৯৩ কোটি ডলার। সবমিলিয়ে ২০২৩ সালে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ২ হাজার ১৯০ কোটি ডলার, যা আগের বছরে ছিল ২ হাজার ১৩০ কোটি ডলার। অর্থাৎ ২০২৩ সালে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল প্রায় ৩ শতাংশ। এর আগে ২০২১ সালে ২ হাজার ২০৭ কোটি ডলার, ২০২০ সালে ২ হাজার ১৭৩ কোটি ডলার এবং ২০১৯ সালে ১ হাজার ৮৩৩ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় দেশে আসে।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম কিছুটা কমেছিল, তবে তা আবার বাড়তে শুরু করেছে। আমরা আশা করেছিলাম, ঈদের আগে ভালো পরিমাণ প্রবাসী আয় আসবে। কেন সেটা এল না, তা বুঝতে পারছি না। তবে অনেকে ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন, আবার এপ্রিলেও অনেকে পাঠাতে পারেন। ঈদের আগে আরও সময় আছে দেশে টাকা পাঠানোর।

প্রবাসী আয় কেনার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোতে এখন ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম ১১০ টাকা। তবে ডলার-সংকটের কারণে ব্যাংকগুলো ডলারপ্রতি ১২০ টাকারও বেশি দামে প্রবাসী আয় কিনছিল। এখন অবশ্য এই দর কমে ১১৫-১১৬ টাকায় এসেছে। বেশি দাম পাওয়ার কারণে বৈধ পথে দেশে প্রবাসী আয় পাঠানো বাড়ছিল। আবার দেশ থেকে পাচার করা অর্থ কেউ কেউ প্রবাসী আয় হিসেবে দেখিয়ে ফেরত এনেছেন বলেও মনে করেন ব্যাংক কর্মকর্তারা।

বৈদেশিক মুদ্রার জোগান ও চাহিদার ওপর নির্ভর করে সময়-সময় বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করে আসছে। এ দুটি সংগঠন মূলত বাণিজ্যিক ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট।

ডলার-সংকটের কারণে গত বছর ডলারের দাম নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে ব্যাংক খাতে। বেশি দামে প্রবাসী আয় কেনা, প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বাড়াতে অতিরিক্ত প্রণোদনা দেয়াসহ নানা উদ্যোগ নেয়া হয় এ সময়। তবে এরপরও গত বছরের বেশির ভাগ সময় বৈধ পথে প্রবাসী আয় কাঙ্ক্ষিত হারে বাড়েনি। ব্যাংকগুলো অবশ্য এখন সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি নিজেরাই সমপরিমাণ প্রণোদনা দিচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page