October 8, 2024, 2:53 am
শিরোনামঃ
১৪৯ রানে অলআউট বাংলাদেশ শেখ হাসিনার অবস্থানের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে চায়নি ঢাকা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম টার্গেট হওয়া উচিত একটি নির্বাচিত সংসদ : তারেক রহমান ভারতে পালানোর সময় মোজাম্মেল বাবুসহ আটক ৪ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ছেলে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার আবার ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিপ্রাপ্তদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা গোপালগঞ্জে বিএনপির গাড়িবহরে হামলা, স্বেচ্ছাসেবক দলের ২ নেতা নিহত,আহত ৫০ জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার ৬১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও আলোচনা সভা রাজশাহীতে বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর: লিটন-বাদশাসহ আসামি ৬৩১

বেদখল সম্পত্তি পুনরুদ্ধার সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তি করতে গ্রাম আদালত

Reporter Name

কোনো অস্থাবর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার বা তার মূল্য আদায়ের মামলা, স্থাবর সম্পত্তি বেদখল হওয়ার এক বছরের মধ্যে তার দখল পুনরুদ্ধারের মামলা, কোনো অস্থাবর সম্পত্তির জবর দখল বা ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ের মামলা নিষ্পত্তি করতে পারবে গ্রাম আদালত। এমন সব বিধান রেখে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিলের রিপোর্ট চূড়ান্ত করেছে সংসদীয় কমিটি। সংশোধিত বিলে গ্রাম আদালতের জরিমানার সীমা ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত করার বিধান রাখা হয়েছে।

জাতীয় সংসদে রবিবার অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই রিপোর্ট চূড়ান্ত করা হয়। বৈঠকে কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। কমিটি সদস্য ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল ওয়াদুদ, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্, মো. ছানোয়ার হোসেন, মো. মতিয়ার রহমান, মো. ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ আলী এবং ফরিদা খানম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া, বৈঠকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, সমবায় অধিদপ্তর, বার্ড, বিআরডিবি, আরডিএর মহাপরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বিলে বলা হয়েছে, একজন চেয়ারম্যান এবং উভয়পক্ষ মনোনীত দুজন করে মোট পাঁচজন সদস্য নিয়ে গ্রাম আদালত গঠন করা হবে। প্রত্যেক পক্ষের মনোনীত দুজন সদস্যের মধ্যে একজন সদস্যকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হতে হবে। ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলার সঙ্গে কোনো নারীর স্বার্থ জড়িত থাকলে সংশ্লিষ্ট পক্ষ সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে একজন নারীকে সদস্য হিসাবে মনোনয়ন দেবে। চারজন সদস্যের উপস্থিতিতে গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত দুই-দুই ভোটে অমীমাংসিত হলে চেয়ারম্যান নির্ণায়ক ভোট দিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।

বিলের তফশিলে সাত ধরনের দেওয়ানি মামলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলো হলো- কোনো চুক্তি রশিদ বা অন্য কোনো দলিল মূল্যে প্রাপ্য অর্থ আদায়। কোনো অস্থাবর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার বা তার মূল্য আদায়ের মামলা। স্থাবর সম্পত্তি বেদখল হওয়ার একবছরের মধ্যে তার দখল পুনরুদ্ধারের মামলা। কোনো অস্থাবর সম্পত্তির জবর দখল বা ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ের মামলা। গবাদি পশু অনাধিকার প্রবেশের কারণে ক্ষতিপূরণের মামলা। কৃষিশ্রমিকদের পরিশোধ্য মজুরি ও ক্ষতিপূরণ আদায়ের মামলা এবং স্বামীর বিরুদ্ধে কোনো স্ত্রীর বকেয়া ভরণপোষণ আদায়ের মামলা। এসব বিষয় গ্রাম আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তিযোগ্য হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page