দেশে ফেরা প্রবাসী ও যাত্রীদের কাছে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা অবৈধভাবে সংগ্রহ করে ক্রয়-বিক্রয় ও মানি লন্ডারিংয়ে বিমানবন্দর শাখার চার ব্যাংক ও দুটি প্রতিষ্ঠান জড়িত থাকার সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ ঘটনায় ১৯ ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ২১ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত ব্যাংক হলো- জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক এবং এভিয়া ও ইম্পেরিয়াল মানি এক্সচেঞ্জ।
দুদক সচিব বলেন, কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। অপরাধে জড়িতরা অবৈধভাবে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহপূর্বক মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচারকারী দুর্নীতিবাজদের অবৈধভাবে মুদ্রা সরবরাহ করছেন। মামলায় ১৯ ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ২১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি ব্রিফিংয়ে মাহবুব হোসেন বলেছিলেন, দেশে ফেরা প্রবাসী ও যাত্রীদের কাছে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা অবৈধভাবে সংগ্রহ করে ক্রয়-বিক্রয়, কালোবাজারি ও মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করছে এক চক্র। এর সাথে বিমানবন্দর শাখার সাতটি ব্যাংক ও দুটি প্রতিষ্ঠান জড়িত।
তিনি আরও বলেন, এয়ারপোর্টে দুদকের এনফোর্সমেন্ট অভিযানে ওই চক্রের সন্ধান পাওয়া যায়। প্রবাসী শ্রমিকরা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মূল্যবান যে রেমিট্যান্স নগদ ও বৈদেশিক মুদ্রায় আনেন তা ব্যাংকিং চ্যানেলে রাষ্ট্রীয় রিজার্ভে জমা হওয়ার কথা। কিন্তু অসাধু ব্যাংকাররা ব্যাংকের টাকা ব্যবহার করে তা ব্যাংকিং চ্যানেলে সংগৃহীত না দেখিয়ে নিজেরাই কিনে বাইরে বিক্রি করেন। যা পরবর্তী সময়ে মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে আবার বিদেশে পাচার হয়ে যায়।