বাংলাদেশের ৫৩তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্ব নেতারা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। এসব শুভেচ্ছা বার্তায় বিশ্ব নেতারা বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব বজায় আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদার হতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত, এমন উল্লেখ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি জে. ব্লিঙ্কেন শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণকে আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাই। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, রোহিঙ্গা সংকটে সাড়া দেওয়া, বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা এবং বৈশ্বিক স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ আজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদার হতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত। আমাদের এই অংশীদারিত্ব একটি মুক্ত, উন্মুক্ত, নিরাপদ এবং সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতার আরেকটি বছর উদযাপন করছে, তখন আমরা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা এবং মানবাধিকার রক্ষায় আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি এবং এই প্রচেষ্টাসমূহ বাংলাদেশকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
বৃটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে আমি ও আমার স্ত্রী বাংলাদেশের জনগনের প্রতি শুভেচ্ছা জানাই। আমাদের দুই জাতির মধ্যে যে বন্ধন রয়েছে, এই বন্ধন সামনের দিনগুলোতে আরো শক্তিশালি হবে। জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলা এবং আগামী প্রজন্মের জন্য টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিতে আমাদের দুইদেশ একসঙ্গে কাজ করে যাবে।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন। এছাড়া রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্টিনও শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবসে আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে দেওয়া শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। রাশিয়া-বাংলাদেশ বন্ধুপুর্ন সম্পর্ক ঐতিহ্যপূর্ণভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার স্বার্থে দুইদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো গভীর হবে। বাংলাদেশের জনগনের প্রতি আমি সুস্বাস্থ্য, শান্তি, প্রগতি এবং সকল ক্ষেত্রে সাফল্য কামনা করি।
রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দনপত্র পাঠিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এছাড়া চীনের স্টেট কাউন্সিলর লি কিয়াং ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াই ই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পৃথক বার্তায় স্বীধনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
অভিনন্দন বার্তায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্ব আরও শক্তিশালী হয়েছে। গত ৫৩ বছরে বাংলাদেশ অবিচলভাবে তাদের স্বাধীনতাকে সমুন্নত রেখেছে। বাংলাদেশ তার অর্থনীতির এবং জনগণের জীবিকার উন্নয়নের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবার পাশাপাশি ‘সোনার বাংলার’ স্বপ্ন বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য অর্জন করেছে। চীন এবং বাংলাদেশ ঐতিহ্যগত বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। দুই দেশের বন্ধুত্ব শক্তিশালী থেকে আরও শক্তিশালী হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাদের দুই দেশ দৃঢ় ও গভীর রাজনৈতিক বিশ্বাস এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ ব্যবহারিক সহযোগিতা উপভোগ করেছে, এতে দুই দেশের জনগণ উপকৃত হয়েছে। চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নয়নকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিতে প্রস্তুত। এছাড়া চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করার জন্য কাজ করতে প্রস্তুত।