মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনে আজ রাজধানীতে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করবে বিএনপি। এর মাধ্যমে পাঁচ মাস পর আবারও মাঠের রাজনীতিতে সরব হচ্ছে দলটি। সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ১৪৮ দিন পর তাঁকে সমাবেশে দেখা যাবে।
এই দিবস উদযাপনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদকে আহ্বায়ক এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে সদস্য সচিব করে ১৬ সদস্যের কমিটি করা হয়। স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে তিন দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ হবে। সকাল সাড়ে ১০টায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা ছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নেবেন।
মাইক ব্যবহারের অনুমতিসহ নির্বিঘ্নে সমাবেশ করায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে ২০ মার্চ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে চিঠি দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা দল। জানতে চাইলে মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান বলেন, সমাবেশে সারাদেশ থেকে মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নেবেন। তাদের প্রত্যাশা, যথাসময়ে সমাবেশের অনুমতি পাবেন।
এ ছাড়া তিন দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল ভোরে দলের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ, পরে শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং ২৭ মার্চ আলোচনা সভা হবে।
এদিকে মির্জা ফখরুল রাজনীতিতে ফের সক্রিয় হওয়ায় নেতাকর্মীর মধ্যে এক ধরনের স্বস্তি ফিরে এসেছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার পতনের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় দলের মহাসমাবেশ পণ্ড করে দেয় পুলিশ। এর পরদিন মির্জা ফখরুল গ্রেপ্তার হন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি। এর পর থেকেই রাজপথের কর্মসূচিতে অনুপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন মহলে রাজনীতি থেকে তাঁর অবসরের গুঞ্জন শুরু হয়। চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যাওয়ার আগে ঘরোয়া কয়েকটি বৈঠকে তিনি অংশ নিয়েছিলেন।