কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের রেল দুর্ঘটনার ১৫ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ চট্টগ্রামের সঙ্গে যুক্ত সকল রুট। ভোর ৫টা ৪০ এ কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেন প্রথমে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এরপর অন্য ট্রেন গুলি এক এক করে ছেড়ে যায় তাদের গন্তব্যে।
সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘ একটি উদ্ধার অভিযানের পর ডাউন লাইনটি ক্লিয়ার করেছি। ইতোমধ্যে এক লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। অন্য একটি লাইনে এখনও কিছু বগি পড়ে আছে। চট্টগ্রামে আটকে পড়ে সকল ট্রেন পর পর ছেড়ে এসেছে। সেগুলো কাছাকাছি স্টেশনে অবস্থান করছে।
এছাড়াও ঢাকাসহ চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা যেসব ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে আটকা ছিল সব ট্রেন চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়েছে। সেগুলিও কাছাকাছি স্টেশন গুলিতে এসে অবস্থান করবে। আমরা প্রথমে কক্সবাজার এক্সপ্রেস দিয়ে শুরু করে এক এক করে সকল ট্রেন চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ক্রস করাবো।
এসময় উদ্ধার কাজের বিষয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৫ টির মতো যাত্রীবাহী ট্রেন ও কয়েকটি মালবাহী ট্রেন গন্তব্য ছেড়ে এসে আটকা পড়েছিল। অনেক ট্রেনের শিডিউল বাতিল হয়েছিল। আমরা জানিনা কখন পুরো কাজটি শেষ হবে। কারণ খুব বাজেভাবে লাইনটি উপড়ে গিয়েছে। এটা যদিও মেরামতে সময় নেবে কিন্তু এই একটি লাইন চালু হলে ভোগান্তি কমে যাবে। আমরা একপাশ একপাশ করে উভয় পাশের ট্রেনই ছেড়ে দেবো।
এর আগে, রোববার (১৭ মার্চ) বেলা পৌনে দুইটার দিকে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় রেললাইন বেঁকে চট্টগ্রাম থেকে আসা জামালপুরগামী ‘বিজয় এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়। নাঙ্গলকোট উপজেলার হাসানপুর রেলস্টেশনের অদূরে তেজেরবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।