অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখা হয়েছে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকদের। অস্ত্রের মুখে দস্যুদের কথা মেনে চলতে বাধ্য করা হচ্ছে তাদের।
অপহরণের শিকার জাহাজের চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান পরিবারের কাছে পাঠানো এক অডিও বার্তায় জানিয়েছেন, নাবিকদের সামনে দিয়ে দস্যুরা অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আশপাশে নেভি জাহাজ দেখলেই ওরা মাথায় অস্ত্র ঠেকাচ্ছে। মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ওরা আমাদের জিম্মি করে রাখছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পরিবারের কাছে পাঠানো এক অডিও বার্তায় তিনি এ তথ্য জানান।
অডিও বার্তায় আতিকুল্লাহ খান বলেন, আমি যেখানে ঘুমাই সেখানে পাশ ফিরলেই দেখতে পাই আমার দিকে বড় বড় মেশিনগান তাক করে রেখেছে। এই অবস্থায় ঘুম যা হওয়ার তাই হচ্ছে। মানসিকভাবে চাপে থাকলেও সুস্থ থাকার চেষ্টা করছি।
জাহাজে থাকা খাবারের বিষয়ে তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, এখনো খাবার আছে। কিন্তু, যেহেতু জলদস্যুরাও আমাদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করছে, আমাদের পানি ব্যবহার করছে, আমাদের খাবার আর কতদিন যাবে সেটা বলতে পারছি না। আর হয়তো ১০-১৫ দিন যেতে পারে। এরপর খাবার ও পানি শেষ হয়ে গেলে খুব কষ্টে পড়ে যাব।
এদিকে জাহাজটিতে অন্তত ২০ জন সশস্ত্র সোমালি জলদস্যু রয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ মেরিটাইম সিকিউরিটি কোম্পানি।
বাংলাদেশ সময় (১২ মার্চ) দুপুরে শিল্প গ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় জাহাজের ইন্টারনেট সংযোগও।
বৃহস্পতিবার সোমালিয়ান সময় দুপুর ১টার দিকে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’র দায়িত্ব নিয়েছে সোমালিয়ান জলদস্যুদের অন্য একটি দল। নতুন জলদস্যুদের হস্তান্তরের পর ৫০ সদস্যের দলটি জাহাজ ছেড়ে গেছে।