ঢাকার আশুলিয়ায় বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে সৃষ্ট আগুনে দগ্ধদের মধ্যে শিউলি আক্তার (৩২) নামে এক নারী মারা গেছেন। শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শিউলি আক্তারের শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। মৃত্যুর সময় তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনায় আহত বাকি ১০ জনের মধ্যে চারজনকে এইচডিইউতে, একজনকে আইসিইউতে, একজনকে সাধারণ ওয়ার্ডে এবং চারজনকে পোস্ট-অপারেটিভ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শারমিন আক্তার নামে এক রোগীকে মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় একটি বাসায় বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুন লাগে। এতে তিন শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হন। তাদের সবাইকে গভীর রাতে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
দগ্ধদের পরিচয়: ১. জহুরা বেগম (৭০) ২. মো. মনির হোসেন (৪৫) ৩. সূর্য বানু (৫০) ৪. সোহেল মিয়া (৩৮) ৫. সুমন মিয়া (৩২) ৬. শিউলি আক্তার (৩২) – মৃত ৭. শারমিন আক্তার (৩৫) ৮. শামিম (১৫) ৯. মাহাদী (৭) ১০. সোয়ায়েদ (৪) ১১. সুমাইয়া (৩)
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তিনি বলেন, “জিরাবো এলাকার ওই বাসায় বৈদ্যুতিক তারে সমস্যা থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে তিন শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হয়েছেন।”
অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্তে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।