সাভার মডেল থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে অবৈধ অস্ত্র ও মদসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ও মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে সাভার মডেল থানাধীন রাজফুলবাড়িয়া এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মোঃ শামীম খান, মোঃ সামিনুর রহমান, মোঃ শাহীন, মোঃ রাজু হোসেন এবং মোঃ হাসানুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে ১৫টি ধারালো রামদা, দুটি বিদেশি মদের বোতল এবং অন্যান্য প্রমাণ উদ্ধার করা হয়েছে।
সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ কাদের শেখ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় অবৈধ কার্যকলাপ, বিশেষত অস্ত্র ও মদ বিক্রির সঙ্গে জড়িত ছিল বলে পুলিশের ধারণা। স্থানীয় জনগণ এই অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে এবং তাদের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
ব্যবসায়ীকে গুলি করে অপহরণ: সন্ত্রাসী মোশারফ গ্রেপ্তার
এদিকে, সাভারে চাঁদার দাবিতে ব্যবসায়ীকে গুলি করার ঘটনায় সন্ত্রাসী মোশারফ হোসেন মোশাকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা জেলা উত্তরের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাতে ডিবি পরিদর্শক শাহ জালাল উদ্দিন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রেপ্তারকৃত মোশারফ হোসেন মোশা সাভারের তেঁতুলঝড়া ইউনিয়নের হেমায়েতপুর এলাকার মৃত শাহজাহান বেপারীর ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সাভারের বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনা করে আসছিলেন। থার্টিফার্স্ট নাইটের রাতে মোশারফ হোসেন ব্যবসায়ী রমজান আলী (৪৪)-এর কাছে চাঁদার দাবিতে অপহরণ করে। পরে হেমায়েতপুরের গ্রীন সিটি এলাকায় নিয়ে গিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করে এবং তার হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে ব্যবসায়ীর ডান পায়ে গুলি করে।
ডিবি পরিদর্শক শাহ জালাল উদ্দিন বলেন, “অপহরণ ও গুলি করার ঘটনায় মোশারফকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ব্যবহৃত অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
স্থানীয় জনগণ পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের এই উদ্যোগে স্বস্তি প্রকাশ করেছে। গ্রেপ্তারকৃত মোশারফের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের আরও কয়েকটি মামলা রয়েছে বলেও জানা গেছে।