প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪ উপলক্ষে মহিম ইন্সটিটিশন ফরিদপুর প্রাঙ্গণে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলার আয়োজন করা হয়। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) এবং উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল আয়োজনে দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় মহিম ইন্সটিটিশন, ফরিদপুর প্রাঙ্গণে এ মেলার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ও সংসদ সদস্য জনাব আবুল কালাম আজাদ।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব তামান্না তাসনীম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাঃ সঞ্জীব কুমার বিশ্বাম, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, বিভিন্ন পর্যায়ের খামারী, ও সাধারন মানুষ। উদ্বোধন শেষে মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন অতিথিরা। এসময় খামারীদের নানান দিকনির্দেশনা প্রদান করে সরকারের বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন তারা।
মেলায় সেবা ও পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছিলেন প্রাণিসম্পদের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান, বড় পর্যায়ের খামারী, ভেটেরিনারি ঔষধ কোম্পানি, প্রাণিসম্পদ সেবা সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশী ও আর্ন্তজাতিক বে-সরকারী উন্নয়ন সংস্থা। উক্ত প্রদর্শনী মেলায় অংশ নিয়েছিল ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে আর্ন্তজাতিক বে-সরকারী উন্নয়ন সংস্থা এসিডিআই/ভোকা কর্তৃক বাস্তবায়িত “ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ লাইভস্টক এন্ড নিউট্রিশন এক্টিভিটি’।
সংস্থাটি প্রাণিসম্পদ উৎপাদন বৃদ্ধি, বাজারজাতকরণ এবং দুধ, দুগ্ধজাত পণ্য ও মাংস খাওয়ার গুরুত্ব বিষয়ে তথ্য, সেবা এবং প্রযুক্তি প্রদর্শন ও বিতরণ করেন যা খামারী ও ভোক্তাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া তৈরী করতে সক্ষম হয়েছিল। উক্ত ষ্টল থেকে প্রাণিসম্পদ পালনের আধুনিক প্রযুক্তি যেমন ম্যানুয়াল অটো ইনকিউভিটার, গরুর কৃত্রিম প্রজনন করার তরল নাইট্রোজেন কনটেইনার, মিল্কিং মেশিন, ঘাস কাটার মেশিন, বীজ বপন করার মেশিন, দুধের মান পরিক্ষার যন্ত্রপাতি, ভোটোনারী ঔষধ সহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি প্রর্দশন করা হয়।
এছাড়া উচ্চ ফলনশীল ঘাস, সবুজ ঘাস সংরক্ষণ পদ্ধতি, মাটি বিহীন হাইড্রোফনিক ঘাস চাষ, বিভিন্ন ধরনের ঘাসের বীজ ও কাটিং প্রদর্শন করা হয়। উচ্চ ফলনশীল ঘাসের চাষ পদ্ধতি এবং সেইসাথে ঘাসের কাটিং ও বীজের কোথায় পাওয়া যাবে সেই সর্ম্পকে আগত খামারীদের ধারণা প্রদান করেন।
দিনব্যাপী চলা এ মেলায় মোট ৪০ টি স্টল ছিল। স্টলগুলোতে প্রদর্শণ করা হয়েছিল দেশী ও শঙ্কর জাতের গাভী, বকনা ও ষাঁড় সেইসাথে ছিল ভেড়া, ছাগল, টার্কি, সোনালী ও দেশী মুরগি, রাজাহাস, চিনাহাস।
উক্ত প্রাণিপ্রর্দশণী স্টলগুলো থেকে মেলায় আগত উৎসাহী খামারী ও সাধারন মানুষদেরকে প্রাণিসম্পদ পালন বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ ও তথ্য প্রদান করা হয়।
এছাড়াও মেলার একটি বড় অংশ জুড়ে ছিল দুগ্ধজাত পণ্য উদ্যেক্তাদের ষ্টল যেখানে তারা হাজির হয়েছিলেন বৈচিত্রপূর্ণ দুধের তৈরী খাদ্য যেমন দই, মাঠা, লাবাং, লাচ্ছি, ছানা ও বিভিন্ন প্রকার মিষ্টি। মেলায় উদ্যেক্তাগণ তাদের পণ্য বিক্রির পাশাপাশি দুগ্ধজাত পণ্য খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা ও পণ্য প্রস্তুত প্রযুক্তি প্রদর্শন করেন।