উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিজের ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী।
গতকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শিউলী একরাম বাজারে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে একরামুল করিম চৌধুরীর এই বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী, বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী। তিনি জানান, নির্বাচনে ভোটাররা যে প্রার্থীকে পছন্দ করবেন, তাকে ভোট দেবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তার (একরামুল করিম চৌধুরী) মতো একজন ব্যক্তি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ভোটারদের এলাকায় উন্নয়ন না করার হুমকি দেওয়া মোটেই সমীচীন নয়। তিনি এসব বক্তব্যের ভিডিওসহ নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
তবে বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, ভোটারদের উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে কোনো বক্তব্য দিইনি। এলাকার উন্নয়ন নিয়ে দেওয়া আমার বক্তব্যের কিছু অংশকে কাটাছেঁড়া করে কেউ উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রচার করছে। তা ছাড়া আমি ছেলেকে নির্বাচনে প্রার্থী করিনি। আমার ছেলে একজন ব্যবসায়ী। এলাকার জনগণ জোর করে তাকে প্রার্থী করেছেন। সে এমনিতেই জিতবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ঘিরে ভোটাররা দুই দলে বিভক্ত হয়েছেন। একপক্ষ একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইসরাক শাবাব চৌধুরীর পক্ষে, আর অন্যদল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিমের পক্ষে। তবে একরামুল করিম চৌধুরী সব থেকে বেশি সময় ব্যয় করছেন ছেলের পক্ষে এবং ভালো সাড়াও পাচ্ছেন।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনের পর সংসদ সদস্য নির্বাচনের প্রচারণা করতে পারবেন না বলে জানান জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা নওয়াবুল ইসলাম। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন পার হলেই তাকে নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে গণ্য করা হয়। এর আগে সংসদ সদস্য তার পরিবারের সদস্য হিসেবে তাকে (আতাহার ইসরাক) পরিচয় করিয়ে দিতে পারেন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনের পর সংসদ সদস্য নির্বাচনের প্রচারণা করতে পারবেন না।