১৪ দিন ধরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দেওয়া রয়েছে। রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কার্যালয়ের বাইরে পুলিশ অবস্থান করছে।
গত ২৯ অক্টোবর থেকে বিএনপির কোনো নেতা-কর্মচারী কার্যালয়ে আসেননি। শনিবার সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সড়ক ও ফুটপাতে ৪০ পুলিশ সদস্যকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। আর অফিসের প্রধান গেটে তালা ঝুলছে। অফিসের সামনের রাস্তায় এখনো লোহার ব্যারিকেড বসানো হচ্ছে। অফিসের গেটে প্লাস্টিকের চেয়ারে নয়টি খাম। এর মধ্যে কয়েকটি চিঠিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানকে দলের বিভিন্ন পর্যায়ে সম্বোধন করা হয়েছে।
বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটকে কারা তালা দিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। গতকাল রাতে মতিঝিল আঞ্চলিক পুলিশের উপ-কমিশনার গোলাম রুহানি প্রথম আলো</em>কে বলেন, বিএনপি নেতারা কার্যালয়ের তালার চাবি লাগিয়েছেন। এমনকি বিএনপির নেতা-কর্মচারীদের কার্যালয়ে প্রবেশেও নিষেধ করা হয়নি। আর যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নয়াপল্টন এলাকায় রয়েছে পুলিশি নিরাপত্তা।
তবে গতকাল দুপুরে ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে বিএনপির মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দলীয় কার্যালয় পুলিশ অবরুদ্ধ করে রেখেছে। এটি সর্বদা কর্ডন করা হয় এবং পুলিশ সেখানে ডিউটিতে থাকে।
বিএনপি সদর দফতরের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের (কথিত কর্মী) মধ্যে কে কোথায় আছেন তাও বলতে পারছেন না দলীয় নেতারা।
প্রথম আলো গতকাল টেলিফোনে অফিসের কর্মকর্তা রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য কয়েকবার চেষ্টা করে; ফোন বাজলেও তিনি তুললেন না। পরে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তর সংযুক্ত) আবদুস সাত্তার পাটোয়ারীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
২৮ অক্টোবর বিএনপির সাধারণ সভার আগে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় নয়াপল্টন জামে মসজিদে কার্যালয়ের পূর্ব অংশে জড়ো হন। তিনি সবসময় দাঁড়িয়ে কথা বলতেন। আমি গতকাল রাতে সেখানে ছিলাম এবং এই রাস্তার মোড়ে একটি পুলিশের গাড়ি দেখেছি।