মিয়ানমারের কারেন রাজ্যে জান্তা বাহিনীর সাথে তুমুল লড়াই চলছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর। জীবন বাঁচাতে পালিয়ে থাইল্যান্ডে যাচ্ছে সীমান্তের বাসিন্দারা। এমন অবস্থায় নিজেদের সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে থাই কর্তৃপক্ষ। খবর ইরাবতির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী কারেন রাজ্য উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জান্তা বাহিনীর সাথে লড়ছে বিদ্রোহী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়েনের যোদ্ধারা।
সম্প্রতি সীমান্তবর্তী মায়াওয়ারি শহরের একটি সামরিক ঘাঁটি নিজেদের দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। আত্মসমপর্ণ করেছে শত শত সেনা, পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা বলে দাবি তাদের।
ইরাবতি বলেছে, পুরো রাজ্য নিজেদের দখলে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বিদ্রোহীরা। তাদের সাথে পেরে উঠছে না জান্তা বাহিনী। সংঘাত বাড়তে থাকায় জীবন বাঁচাতে প্রতিবেশী থাইল্যান্ডে পালিয়ে যাচ্ছে সীমান্তের বাসিন্দারা।
এদিকে, এই পরিস্থিতেতে বুধবার (১০ এপ্রিল) নিজেদের সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে থাইল্যান্ড সরকার। মিয়ানমারের সাথে লাগোয়া প্রতিটি এলাকায় বাড়তি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। যারা সীমান্ত পার হয়ে প্রবেশ করছে তাদেরকে তল্লাশি করেই নিজেদের দেশে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে।
থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত শহর হচ্ছে মায়াওয়ারি। দুই দেশের মধ্যে বেশিরভাগ ব্যবসা বাণিজ্য হয় এই রুটে। তবে, যেভাবে বিদ্রোহীরা এগিয়ে যাচ্ছে তাতে অচিরেই জান্তা সরকার পরাজিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কারেন বাদে রাখাইনেও শক্ত অবস্থানে বিদ্রোহীরা। অন্যান্য সীমান্তেও নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করছে তারা। তাদেরকে সমর্থন দিচ্ছে মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্য সরকার। সবার লক্ষ্য হচ্ছে জান্তা সরকারকে হটিয়ে গণতান্ত্রিক সরকারে ফিরে যাওয়া।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে জান্তা। এরপর থেকেই তাদের বিরুদ্ধে লড়ছে বিদ্রোহীরা।