এনবিআরের অনিশ্চিত ও অপরিকল্পিত সিদ্ধান্তে দেশে বিদেশী বিনিয়োগ কমছে। বিদেশী বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় উৎস সেলফোন অপারেটররা। কিন্তু তাদের ওপর করের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে প্রণোদনা দিয়ে মোবাইল প্রস্তুতকারকদের বিনিয়োগ নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু বছর না ঘুরতেই তাদের ওপর কর আরোপ করা হয়েছে। এমন অনিশ্চিত এবং অপরিকল্পিত পরিস্থিতির কারণে বিনিয়োগকারীরা এখানে বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন না।
রবিবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে টেলিকম ট্যাক্সেশান ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন বক্তারা।
টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব) এ বৈঠক আয়োজন করেন।
অনুষ্ঠানে অ্যামটব মহাসচিব লে. কর্নেল মোহাম্মদ জুলফিকার বলেন, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি কর দিতে হয় বাংলাদেশের মোবাইল অপারেটরদের। গ্রাহকের ১০০ টাকার মধ্যে ৫৪ টাকা কর বাবদ এবং অন্যান্য খাতসহ ৯৮ টাকা খরচ করতে হয়। কিন্তু প্রত্যক্ষ এই কর বাদ দিয়ে যদি সিম ও কর্পোরেট কর প্রত্যাহার এবং স্মার্টফোন ও ডাটা সহলভ্য করা হয় তবে জিডিপিতে অবদান রাখা সম্ভব হবে। বিশ্বের অষ্টম সর্বোচ্চ মোবাইল বাজার বাংলাদেশ। দেশের জিডিপিতে অন্তত ২ দশমিক ৮ শতাংশ অবদানের লক্ষ্য তাদের।
অ্যামটবের সাবেক মহাসচিব টিআইএম নুরুল কবির বলেন, বাংলাদেশে এখন বিদেশী বিনিয়োগ অনেক কমে গেছে। এনবিআরের অনিশ্চিত এবং অপ্রত্যাশিত সিদ্ধান্তের কারণে, বিশেষ করে দেশের হ্যান্ডসেট কোম্পানিগুলোকে এখানে বিনিয়োগ করার জন্য প্রণোদনা দিলেন, তারা সবাই বিনিয়োগ করল। কিন্তু দুই বছর পরে তাদের ওপর ভ্যাট এবং শুল্ক চাপিয়ে দেয়া হলো। এতে তাদের উৎপাদন কমে গেল, কস্ট অব বিজনেস বেড়ে গেল। তার ফলাফল জনগণের ওপর যাচ্ছে।
গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, গ্রামীণফোনের লভ্যাংশের ৭৭ শতাংশ সরকারি কোষাগারে দিয়ে দিতে হয়। আমরা সব সময় কোম্পানির লভ্যাংশ দেখি, লভ্যাংশের আগে কত দশগুণ বেশি দিয়ে আসতে হয় তা দেখি না। দেশে ইন্টারনেট প্যানিট্রেশন বাড়ানোর জন্য আমাদের কর ছাড় দিতে হবে, একই সাথে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত স্মার্টফোনের উৎপাদন কীভাবে বাড়ানো যায় তাও দেখতে হবে।